মহেশপুরে বিয়ের প্রলোভনে দেহ ভোগ অত:পর অন্তসত্তা

0
1534

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা,গড়াইনিউজ২৪.কম::মহেশপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগে তালাকপ্রাপ্ত এক সন্তানের জননী এখন ৫ মাসের অন্তসত্তা। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর উপজেলার বামনগাছী (বেলেমাঠ) গ্রামে। এলাকাবাসী ও গর্ভবতী সূত্রে জানাগেছে,বামনগাছী (বেলেমাঠ) কাঁচাবাজারের পূর্বপাশে বসবাসকারী খা পুর গ্রামের মৃত রিজাউলের তালাকপ্রাপ্ত কন্যা এক সন্তানের জননী রজিনা খাতুন (২০) এর সাথে ঐ গ্রামের হামিদের ছেলে হাফিজুরের প্রায় ৩ বছর ধরে পরকিয়া ও দৌহিক সম্পর্ক চলে আসছিল। পরকিয়া ও দৌহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে হাফিজুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে রজিনাকে দেহ ভোগ করে আসছিল। দেহ ভোগের এক পর্যায়ে রজিনা ৫ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং রজিনা বিয়ের জন্য হাফিজুরকে চাপ দিতে থাকে কিন্তু এখন সে বিয়ে ও গর্ভের সন্তানকে অস্বিকার করছে । এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে লম্পট হাফিজুর বিয়ে করবে বলে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। বিয়েতো দুরের কথা এখন প্রতারক হাফিজুর কোন খোজ খবরও নেয় না।
এব্যাপারে রজিনার নিকট জানতে চাওয়া হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সে এ প্রতিবেদককে জানায়,বিয়ের আগে থেকে আমাদের সম্পর্ক ছিল। আমার বিয়ে হওয়ার পরে আমি সরে গিয়েছিলাম কিন্তু‘ গত বছর আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর আবার ও আমার পেছ লেগেছিল। সে আরো জানায়,বিয়ের কথা বললে বলে ৫ শত টাকা গোছা সময় হলে বিয়ে করবো। এখন আমার পেটে বাচ্চার কথা জানালে সে বলে সময় হলে বিয়ে করবো তবে আগে বাচ্চা নস্ট করতে হবে। বাচ্চা নস্ট করার কথা অনেক দিন বলেছি তখন সে রাজি হয়নি এখন সবায় জানাজানি ও বাচ্চা বড় হয়ে গেছে এখন কিভাবে নষ্ট করবো। আমি বাচ্চার পিতৃ পরিচয় চায়। সেচ্ছায় আমাকে বিয়ে ও আমার বাচ্চার পিত্রী পরিচয় না দিলে আমি আইনের আশ্রয় নেব। এ ব্যাপারে রজিনার মা হালি জানান,এলাকার অনেকের কাছে এ ঘটনা জানিয়েছি কিন্তু কেউ এর সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লম্পট হাফিজুর পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান জানান,একটি এস এম এস পেয়েছি। এস এম এস পাওয়ার পর আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম এবং এব্যাপারে তাদেরকে কিছু পরামর্শ দিয়েছি তারা থানাতে একটি অভিযোগ দিবে। অভিযোগ দিলে এটিকে আমলে নিয়ে অপরাধীর যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।