রোমাঞ্চকর ফাইনালে বিপিএল চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস

0
1397

গড়াইনিউজ২৪.কম:: রোমাঞ্চকর ফাইনালে বিপিএল চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস, শুক্রবার রাতের ফাইনালে রাজশাহীকে নিয়ে বাজি ধরার লোকের সংখ্যা বেশি ছিল না। ড্যারেন স্যামিদের সেলফি উৎসব নয়, দর্শকে ঠাসা মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম সঙ্গত কারণেই দেখলো ডাওয়েন ব্রাভোদের চ্যাম্পিয়ন্স ড্যান্স। নাহ, ফাইনালটা মোটেও ফাইনালের মতো হয়নি, হয়েছে একপেশে। ৫৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বীরদর্পে ট্রফি ঘরে তুলেছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের এটাই বিপিএলের প্রথম শিরোপা। প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছিল ঢাকা। জবাবে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী রাতের ম্যাচ, উইকেটও সহজ নয়। ১৬০ রানের টার্গেট তাই রাজশাহীর জন্য বেশ কঠিন ছিল। একটা ঝঁকমকে শুরু দরকার ছিল তাদের। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৫-৬০ রান আর কি। কিন্তু প্রথম ৬ ওভারে আসলো মাত্র ৪০, এক উইকেটে। শুরুতে নুরুল হাসান সোহানের (৫) ফিরে যাওয়ায় চাপ এসে পড়ে মমিনুল ও সাব্বিরের উপর। সেই চাপ সামলে বেশ এগিয়েও যান এ জুটি। কঠিন সময় কাটিয়ে সবে হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে ২২ বলে ২৬ করে রান আউটের শিকার হন সাব্বির। এরপর ৩০ বলে ২৭ করে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন। সাব্বির মমিনুল ফিরে যাবার পর রাজশাহীর সম্ভাবনা ধূসর হয়ে যায়। ফ্রাঙ্কলিক ৯ রান করে আউট হয়ে গেলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় রাজশাহী। শেষ ভরসা ছিলেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও সামিত প্যাটেল, যারা এই টুর্নামেন্টে অনেকবার ব্যাট হাতে দলকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু এদিন পারলেন না। ৬ রানে করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়েছেন স্যামি। এরপর সামিত প্যাটেল ১৭ রানে ফিরে গেলে সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর। মাত্র ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় স্যামির দল। ঢাকার পক্ষে সাকিব ২টি, জায়েদ ২টি, সানজামুল ২টি, ডাওয়েন ব্রাভো ১টি ও আন্দ্রে রাসেল ১টি করে উইকেট নেন।এর আগে সন্ধ্যায় প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ডায়নামাইটসের শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ১০ বলে ৮ রানে করে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফিরেন এই টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখানো মেহেদী মারুফ। ক্রিজে নেমে ছটফট করছিলেন নাসির।৪ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর এক রান যোগ করেই তরুণ আফিফের দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকে। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এদিন ভালো কিছু করতে পারলেন না। ৪ বলে ৫ করে স্যামির বলে এদিন এলবিডব্লিউ হন জাতীয় দলের হয়ে চমক দেখানো এ ব্যাটসম্যান। ৪২ রানে নেই ৩ উইকেট, ওভার ৬.১। তবে এভিন লুইসের সঙ্গে ‘গ্রেট’ সাঙ্গাকারার দৃঢ়তা বিপদ কাটিয়ে দেয় ঢাকার। সাঙ্গাকারার সঙ্গে ৪১ রানের মূল্যবান জুটি গড়ার পর ৩০ বলে ৪৫ করে বিদায় নেন লুইস। এরপর ১০ বলে ১৩ রান করে রান আউট হয়ে যান ডিজে ব্রাভো। ক্যারিবিয়ান টি-২০ স্পেশালিস্ট আন্দ্রে রাসেলও যেতে পারেননি বেশি দূর। ৮ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। সাকিব বড় শট খেলার জন্য ছটফট করছিলেন। স্কোর দ্রুত বাড়িয়ে নেওয়া লক্ষ্যটা পূরণ হয়নি তার। ৭ বলে ১২ করে ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হতে হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ভালো স্কোর গড়ে দিয়ে যান সাঙ্গাকারা। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে তিনি। রাজশাহীর পক্ষে ফরহাদ রেজা ৩টি, কেজরিক উইলিয়ামস ১টি, ড্যারেন স্যামি ১টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি, আফিফ হোসেন ১টি ও সামিত প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।