‘আওয়ামী লীগ কখনোই সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করেনি’: প্রধানমন্ত্রী

0
1239

গড়াইনিউজ২৪.কম:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেনি, বরং বরাবরই চেয়েছে একে একটি শক্তিশালী, সুশৃঙ্খল এবং মর্যাদাপূর্ণ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার। এই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। সোমবার বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছে। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সশস্ত্র বাহিনীকে কখনও আমাদের ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করিনি। ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বারবার ক্যু করে সশস্ত্র বাহিনীর শত শত অফিসার-সৈনিকদের হত্যা করিনি। আমরা চেয়েছি শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপন করে একে একটি সুন্দর সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে এবং এই সশস্ত্র বাহিনী যেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়। শুধু বাংলাদেশের জনগণের নয়, সারা বিশ্বব্যাপী আস্থা-বিশ্বাস যেন অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে আজকের এই দিনটি এক বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা যৌথভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর সাথে সম্মিলিত বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ আক্রমণে পর্যুদস্ত দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্ব গাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার। আমি তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। আপনারা শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন। দেশের প্রতিরক্ষা ও দেশ গড়ার কাজে অবদান রেখে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারবেন-এই বিশ্বাস আমার আছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিগঠনে বর্তমান সময়ে সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ব দরবারে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলার জন্য তার সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।