সুন্দরবনের সাগর মোহনায় ১২ নভেম্বর রাসমেলা শুরু

0
1169

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ৩ দিনের রাসমেলা শুরু হবে আগামী ১২ নভেম্বর। বেসরকারি একাধিক পর্যটন কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, রাস উৎসবে যোগ দিতে এরই মধ্যে অনেক পর্যটক লঞ্চ ও স্পিডবোট বুকিং নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
সর্ববৃহৎ প্রাচীন রাসমেলা সুন্দরবনের সাগদুহিতা দুবলারচরে। কথিতমতে ১৯২৩ সালে গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দির হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুসারী হরিভজন নামে এক সাধু সুন্দরবনের দুবলাচরে রাস পূর্ণিমায় পূজা- পাবর্নাদি অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর শুরু হয় রাসমেলা।

শত বছরের এ ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বন বিভাগ, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, আয়োজক কমিটি সহ বিভিন্ন সংস্থা ইতমধ্যো নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

রাসমেলা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য ১০টি পথ নির্ধারণ করেছে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ। ওই পথগুলোতে তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল।

অনুমোদিত ১০টি পথ হলো- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর; কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর; কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর; কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর; নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর; ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর; বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর এবং শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, ১২ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর মেলা চলাকালে দুবলার চলে প্রবেশে দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের কোনো এন্ট্রি ফি দিতে হবে না। দিনের বেলায় নির্ধারিত রুটের যেকোনো পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন তারা। বনবিভাগের চেকপয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না।