
গড়াইনিউজ২৪.কম :: আগের ম্যাচে কি কাণ্ডটাই না করলো বাংলাদেশ। ওই কথাই রবিবারের ম্যাচের পর মনে করিয়ে দেওয়া হলো মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। সেই কথা শুনে অধিনায়ক বললেন, “ওই ম্যাচে যা হয়েছিল তা আসলে পেশাদার ছিল না। আজকেরটাই পেশাদার।” প্রথম ম্যাচে টার্গেট ছিল ৩১০। ৪ উইকেটে ২৭১ রানে গিয়ে ১৭ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২৮৮ রানে অল আউট হয়েছিল। অবিশ্বাস্য পতনে জেতা ম্যাচটা হেরেছিল ২১ রানে। মিরপুরে ইংল্যান্ডকে ৩৪ রানে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে ফিরিয়েছে সমতা। ৮ উইকেটে মাত্র ২৩৮ রান ছিল বাংলাদেশের। যেখানে মাহমুদ উল্লাহের ৮৮ বলের ৭৫ সবচেয়ে বড়। গড়েছেন ৫০ এর মধ্যে দুটি জুটি। এরপর ২৯ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মাশরাফি। ৪৯ বলে অষ্টম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন ২৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেনের সাথে। এরপর বল হাতে মাশরাফি আবার হামলে পড়েন ইংল্যান্ডের ওপর। ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন। সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নতুন বলে শুরু করেছিলেন। তিনি নিয়েছেন এর এক উইকেট। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড প্রাথমিক ধাক্কা সামলালেও পরে আর পারেনি।
মাশরাফি এই ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি, “বোলাররা আসলে এই ম্যাচে অসাধারণ পারফর্ম করেছে।” জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর তাসকিন আহমেদ এই দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন। একের পর এক ৩ উইকেট নেন। নাসির অফ স্পিনে নেন ১ উইকেট। ২৯.১ ওভারে ৮ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড আদিল রশিদ (৩৩*) ও জেক বলের (২৮) শেষ লড়াইয়ে পারেনি। ৪৪.৪ ওভারে অল আউট।
এই ম্যাচের নায়ক সবাইকে ছাড়িয়ে অল রাউন্ড নৈপুণ্যে মাশরাফি নিজে। এমন ব্যাটিং! “আমি শুধু স্লগ করতে চেয়েছিলাম।” মাশরাফি বলেছেন, “চেয়েছিলাম নিজের শট খেলতে।” তার ওই ৪৪ রানই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে দুই দলের মধ্যে। এখন তাই সিরিজ জয়ের কথাও ভাবতে পারছে। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট মাশরাফির। ম্যাচের সেরা তো তিনিই।