কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরদিন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়ন, রিফোয়েতপুর ইউনিয়ন, আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহ কয়েকটি গ্রামে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন, এদের মধ্যে অনেকেই কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, ইউনিয়ন পরিষদ এর কার্যালয়, ভূমি অফিসসহ বাড়িতে হামলা, লুটপাট এমনকি ফসলের ক্ষতি করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েই চলেছে দৌলতপুর উপজেলায়। পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে রহিম, কুব্বাত ও তুফান এর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলা করে। এই অগ্নিসংযোগের কারনে কয়েকটি বাড়ির গবাদিপশু সহ সব কিছু পুরে ছাই হয়ে গেছে। এমনকি বোমা হামলায় আহত হয়ে তুফান সহ কয়েকজন আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এদিকে রিফায়েতপুর ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে দৌলতপুর উপজেলার কৃষকলীগের সভাপতি ডাঃ শরীফ উদ্দিন এর বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও গেট ভাংচুর করে এবং শরীফ উদ্দিন কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে। নারায়রপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন কে বেধড়ক মারপিট করে। এত করে হাফিজ উদ্দিন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জামিরুল ইসলাম বাবু, মানিক, সান্টু ও রিফাজ এর নেতৃত্বে রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাংচুর, প্রয়াত চেয়ারম্যান এর ফলক ভাংচুর, ভূমি অফিস ভাংচুর ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লুটপাট করে নিয়ে যায়। রিফায়েতপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দি গ্রামে রিফায়েতপুর ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা সঞ্জয় খান ও দৌলতপুর উপজেলার যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া রহমান নুপুর এর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে ট্রাক সমর্থীত কর্মীরা। আরো অভিযোগ রয়েছে যে, আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিএনপি পন্থী চেয়ারম্যান বাকীর নেতৃত্বে মোকাদ্দেস সহ নৌকার সমর্থকদের বাড়িতে রাতে হামলা করে, এতে বেশ কয়েকজন নৌকার সমর্থককারীরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারাগুণিয়া বাজারে রানার দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় ট্রাক সমর্থককারীরা। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, সবাইতো আওয়ামী লীগ করে, কিন্তু জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকার নির্বাচন করতে যেয়ে আজ আমরা হয়রানীর শিকার। নৌকার সমর্থককারীদের উপর হামলা করলে তো শেখ হাসিনা কে অপমান করা হয়। তাই আমরা এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। এভাবে যদি দৌলতপুর থানার পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তাহলে লাশের মিছিল গুনতে হবে দৌলতপুরবাসীকে। দৌলতপুর রণক্ষেত্র হওয়ার কারন কি আর এই দ্বায় কার..? এই বিষয়ে দৌলতপুর ইউএনও দৌলতপুর থানার ওসি এবং কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারকে মুঠোফেনে কল করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।