শপথ ভঙ্গের পরও পদে কেন: দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রিট

0
1178
আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। গড়াইনিউজ২৪.কম::

গড়াইনিউজ২৪.কম:: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করে জানান, তিনি হাই কোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন আদালতে শুনানির চেষ্টা করবেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল কোন কর্তৃত্ববলে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন- তা জানাতে রুল চাওয়া হয়েছে ওই রিটে। এর আগে গত শনিবার এই দুই মন্ত্রীকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন ইউনুছ আলী। দুই মন্ত্রী ‘সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন’ বলে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ আসার পরও তারা ‘কোন কর্তৃত্ববলে’ পদে রয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয় সেখানে। নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই মন্ত্রীর জবাব চাওয়া হয়েছিল নোটিসে। জবাব না দেওয়ায় এই রিট করা হয়েছে বলে জানান ইউনুছ। তার রিট আবেদনে বলা হয়, আপিল বিভাগের ওই রায়ের পর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদ ‘আঁকড়ে থাকার কোনো অধিকার’ তাদের নেই। অবমাননার দায়ে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার পর তাদের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা ‘পাবলিক সার্ভেন্ট ডিসমিসাল অন কনভিকশন অর্ডিনেন্স-১৯৮৫’ এর পরিপন্থি। “তারা অবৈধ ও আইনি কর্তৃত্ব ছাড়াই পদে রয়েছেন। সংবিধান সুরক্ষায় শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে তারা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসাবে নেওয়া শপথ ভেঙেছেন।” যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ গত ২৭ মার্চ রায় দেয়। সেই রায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, “সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন রক্ষার যে শপথ বিবাদীরা নিয়েছেন, সেই দায়িত্বের প্রতি তারা অবহেলা করেছেন। “তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।” আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গ হওয়ায় দুই মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন বলে ইতোমধ‌্যে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। এ বিষয়ে মন্ত্রী কামরুলের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও মোজাম্মেল শনিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ‘জেনেশুনে’ সংবিধান লঙ্ঘন করেননি। দুই মন্ত্রী সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন।