ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা :: ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়াতে গতকাল মঙ্গলবার অরণকোলা পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি গরু আমদানী হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ঈদুল আযহার দিন ঘনিয়ে আসছে। আর মাত্র ১২ দিন পরই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র দিন ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ কোরবানীর জন্য পশু ক্রয়ের তোরজোড়ও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় পশুর হাট হচ্ছে ঈশ্বরদীর অরণকোলা পশুর হাট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের কোরবানীর পশুর একটি বড় অংশের যোগান আসে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামে পালিত গো-খামারীদের কাছ থেকে। অন্য বছরের মতো গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিতে বড় করা গরুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। গ্রামে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন করা জিরো ফিগারের দেশি গরু ক্রয়ের দিকে এবার নজর দিচ্ছে অধিকাংশ ক্রেতারা। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর গ্রামে গ্রামে এবার প্রচুর পরিমাণে দেশি গরু ঈদের আগে বিক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে এবার চাহিদার চেয়ে গরুর পরিমাণ বেশি থাকায় এই ঈদে কোরবানীর পশু নিয়ে কোন সংকটের সৃষ্টি হবেনা। এদিকে ভারত ও বার্মা থেকে কোরবানীর পশু এলে গরুর বাজার অনেক কম আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঈশ্বরদী অরণকোলা পশু হাটের ইজারাদারকৃত পক্ষের সঙ্গে আলাপকালে আলহাজ্ব মিজানুর রহমান রুনু মন্ডল জানিয়েছেন আজ পর্যন্ত ঈশ্বরদী পশু হাটে ভারতীয় পশুর আমদানী হয়নি। তিনি বলেন, এমনিতেই দেশি গরুর আমদানী ভালো, ঈদের সময় এগিয়ে এলে আমদানী আরও বাড়বে। ইজারাদারদের হিসাব মতে স্বাভাবিক সময় প্রতি হাটে এক থেকে দুই হাজার গরু বিক্রি হয়ে থাকে। ঈদের সামনে এর পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে থাকে।
গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ থেকে ঈশ্বরদী অরণকোলা হাটে এবারের ঈদের জন্য কেবারবানীর পশু বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আগে আরও দুইটি হাট মিলিয়ে প্রায় অর্ধলাখ গরু বিক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বলেন, আজকের চেয়ে গত হাটের গরুর দাম তুলনামূলক একটু কম ছিল। ভারতীয় গরু না আসায় দাম একটু চড়া, তবে এখনো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।