১০০ কোটি টাকা কীভাবে উঠবে সিনেমায় বিনিয়োগের

0
515

জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়ন্তী,গড়াইনিউজ ২৪.কম: করোনা মহামারির কারণে গত ১৫ মাসে অনেক বড় ক্ষতির মুখে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প। প্রায় ২৫টির বেশি বড় বাজেটের সিনেমার শুটিং শেষ হয়ে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে অনেক সিনেমার কাজ সম্পূর্ণ শেষ, আবার কয়েকটি নির্মাণাধীন। এসব সিনেমায় সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে জানা গেছে। বড় বাজেটের এসব সিনেমার তালিকায় রয়েছে— ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘বিদ্রোহী’, অন্তরাত্মা’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’, ‘শান’, ‘বিক্ষোভ’, ‘জ্বীন’, ‘হাওয়া’, ‘পাপপুণ্য’, ‘পরান’, ‘দামাল’, ‘ক্যাসিনো’, ‘ওস্তাদ’, ‘মুখোশ’, ‘চোখ’ ও ‘লিডার- আমিই বাংলাদেশ’। অচিরেই সিনেমা হল স্বাভাবিক অবস্থায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই বড় বাজেটের সিনেমাগুলো ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মে মুক্তিরও কোনো সম্ভাবনা নেই। সিনেমা হলেই এগুলো মুক্তি দিতে চান সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। অভিনেতা সিয়াম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি আমার অভিনীত যে সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলো সিনেমা হলেই মুক্তি দেবেন প্রযোজক, পরিচালকরা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা মুক্তি দিতে পারছেন না বলে পরিচালক-প্রযোজকরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কারণ, সিনেমা হলের কথা ভেবেই সেগুলো তৈরি করা হয়েছে।’ পরিচালক অনন্য মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এসব সিনেমায় যত টাকা বিনিয়োগ করা আছে, সেগুলো মুক্তি না পেলে পুঁজি ফেরত আসবে না। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন প্রযোজকরা।’ ‘একদিকে টাকা আটকে আছে, অন্যদিকে নতুন সিনেমা শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন। নতুন প্রযোজক আসছে না এসব কারণে। ফলে সিনেমার ক্ষতি হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি। তার মতে, ‘প্রযোজক না বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে না। কীভাবে সিনেমা মুক্তি দিলে ভালো হবে তা নিয়ে চিন্তা করা দরকার।’ সংশ্লিষ্ট বলছেন, গত ঈদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে ১১০টি সিনেমা হল খোলা হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন জেলার স্থানীয় প্রশাসন ঈদে বেশ কিছু সিনেমা হল বন্ধ করে দেয়। ফলে চরম সংকটে পড়েছে সিনেমা শিল্প। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ কুমার দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ঈদে একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সিনেমা হল। যদিও সরকারি নির্দেশনায় সিনেমা হল বন্ধের কথা ছিল না।’ ‘ঈদের আগে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে সিনেমা হল বন্ধ না করার লিখিত আবেদন জানাই। এতে তারা সিনেমা হল খোলার আদেশ বহাল রাখে। তারপরেও কেন সিনেমা হল বন্ধ রাখতে হয়েছিল জানি না,’ যোগ করেন তিনি।