গড়াইনিউজ২৪.কম:: নামের শেষে এসজি ব্যাবহার করেন এস কে সজিব শেখ। কুষ্টিয়ার প্রায় সকল ছাত্রলীগ এবং আওয়ামীলীগের অনেক নেতার সাথে ফেসবুকে ছবি আপলোড করেন প্রায় সময়ই । নেতাদের আস্থাভাজন হতে প্রায়ই তাদের ছবি সহ ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট দিয়ে থাকেন এস কে সজিব শেখ । কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার এক সময়ের কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী মিলন শেখ ওরফে ডাল (ফেন্সিডিল) মিলনের ছেলে সজিব শেখ। শুধু সজিবের বাবা নয়, সজিব এর মা সালমা বেগম ও বোন মিলির নামেও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। সজিব এর বড় ভাই ছিলেন এক সময়ের শহর এর প্রভাবশালী মাদক ব্যাবশায়ী রাজিব। পরে মাদকের ব্যাবসার টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় রাজিব। রাজিব মারা যাওয়ার পরে ব্যাবসার হাল ধরেন সজিব।সজিবের পুরো পরিবারের ইাতহাস ঘাটলেই বোঝা যায়, তার পরিবারের সকলেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন ।অভিযোগ আছে, কিশোর বয়স থেকেই অনেক মাদক ও অস্ত্র ব্যাবসায় অনেক পটু হয়ে ওঠেন সজিব। হাউজিং ডি ব্লকের ১৪২ নং বাসা থেকে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ৪০ বোতল ফেন্সডিল সহ র্যাব ১২ এর হাতে ধরা পড়েন সজীব সহ ৪ জন। পরে জেল থেকে বের হয়ে আবারো মেতে উঠেন সজিব মাদক ব্যাবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে । কয়েকবার জেলে গেলেও থেমে থাকেননি সজিব শেখ।এরপর ২০১৭ সালের জেলা ছাত্রলীগ এর এক নেতার হাত ধরে চলে আসেন রাজনীতিতে। ঐ নেতার আস্থাভাজন হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ এর সহ সম্পাদক পদ পেয়ে যান সজিব। এর পর আর পিছরে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সজিব পদ পেয়েই হয়ে ওঠেন আরো বেপোরায়া। মাদক ব্যাবসা সচল রাখার জন্য ছাত্রলীগ এর পদ ব্যাবহার অল্প কিছুদিনের মধ্যই গড়ে তোলেন কুষ্টিয়া শহরে কিশোর গ্যাং। আর তার এই কার্যকালাপ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ এর সর্বোচ্চ নেতার কাছে বিচার দেওয়ার অপরাধে সেই সময়ের জেলা ছাত্রলীগ এর যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আজমুল শেখের উপরে চড়াও হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে সজিব বাহিনী। তার বিরুদ্ধে মামলা করলেও ছাত্রলীগের পদের ব্যাবহার করে খুব সহজেই বের হয়ে আবরো শুরু করেন তার অপতৎপরতা।এস কে সজিব শেখের ফেসবুক থেকে জানা যায়, তিনি শুধু ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকই ছিলেন না । তিনি আরোও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা (কুষ্টিয়ার সবুজ পাখির দল), সভাপতি (বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ছাত্র ফেডারেশন কুষ্টিয়া শহর শাখা), সাধারণ সম্পাদক (বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্র পরিষদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শাখা), সভাপতি (বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্র সংগঠন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখা) । ফেসবুকে এই সমস্ত পদ-পদবী সবিজ শেখ গত ২০ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে আপডেট করেন । এই বিষয়ে সজিব শেখের সাথে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি । ২০১৭ থেকে ২০২০ এর মধ্য কয়েকবার জেলে যান সজিব শেখ। এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষুব্ধ হয় সজিব শেখকে নিয়ে। কিন্তু থেমে যায়নি সজিব। বেড়েই চলতে থাকে সজিবের সাম্রাজ্য।কুষ্টিয়া শহরের BSB, BLACK LIST, 007, VIKINGS, DEVILS সহ আরও নাম না জানা অনেক গ্যাং নিয়ন্ত্রন করেন সজিব শেখ। কুাষ্টয়ার পুরো শহর দখল হওয়ার পরে সজিব গ্যাং এর বিস্তার শুরু হয় পুরা কুষ্টিয়া জেলাতে। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি, খোকসা, মিরপুর, দৌলতপুর সহ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নে কেক কেটে শুরু হয় সজিব গ্যাং এর পদযাত্রা। যার প্রতিটি ছবিই সজিব শেখের ফেসবুক ওয়ালে শোভা পাচ্ছে । প্রতি এলাকায় গ্যাং শুরু করার সময় কেকে কেটে শুরু করেন এই ছাত্রলীগ নেতা । গত বৃহঃবার (১২ নভেম্বর) তারিখে ফিল্মি ষ্টাইলে বরগুনার রিফার হত্যা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে জন সম্মুখে কুষ্টিয়া শহরের প্রান কেন্দ্র এন এস রোডে ছাত্রলীগ কর্মি রিদয়কে হত্যা চেষ্টা করে আবারো আলোচনায় আসেন সজিব। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে সজিব। এখনো তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। এদিকে ঘটনার দিনই রিদয়ের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে পাঠান কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ।ঘটনার দিনই বৃহঃবার (১২ নভেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেন । গ্রেফতার কৃত রা হলেন কুষ্টিয়ার উদিবাড়ী এলাকার সিয়াম (১৭), হাউজিংয়ের ইফতি (১৬), এবং অভি (১৬) । সজিব শেখ নামে মাদক অস্ত্র সহ একাধিক মামলার আসামী হলেও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়না পুলিশ ? এখানো কেন থামানো যাচ্ছে না সজিব কে? আর কত অপরাধ করলে থামবে সজিব ? কে ই বা সজিবের আশ্রয় দাতা ? কার আশ্রয়ে সজিব দিনের পর দিন বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে ? এটাই এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন ।
Kushtia
broken clouds
32.4
°
C
32.4
°
32.4
°
28%
3.4kmh
51%
Sat
35
°
Sun
35
°
Mon
35
°
Tue
37
°
Wed
27
°